বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত হলেও আটার চাহিদাও কিন্তু কম নয়। এখন কার সময়ে প্রতিটি ঘরে সকালের নাস্তায় আটার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে দেখা যাচ্ছে আটার পুষ্টি গুণে লাল আটা অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। লাল গমের আটা দিয়ে তৈরি রুটি ভাতের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে থাকে। আমরা অনেকেই জানি না যে লাল আটা স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। লাল আটাতে রয়েছে আয়রন, থিয়েমিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি এবং আরও অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে।

তবে জেনে নেওয়া যাক নিয়মিত লাল গমের আটার রুটি কেন খাব এবং এই রুটি খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়–
রুটি খাওয়ার উপকারিতা
১. লাল আটায় রয়েছে অনেক পরিমাণ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও আঁশ। এবং লাল আটাতে আরো পাওয়া যায় ফলিক এসিড, ফসফরাস, জিংক, কপার, ভিটামিন ‘বি১’, ভিটামিন ‘বি২’ ও ‘বি৩’। এসব উপাদান আমাদের হৃদরোগ প্রতিরোধ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে ।এবং ডাক্তাররাও ডায়াবেটিস রুগিদের পরামশ দিয়ে থাকে লাল আটার রুটি খাওয়া জন্য।
২.আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত চেষ্টা করবেন লাল আটার রুটি খেতে। লাল আটা শরীরে ক্ষতিকর ফ্যাট কমিয়ে উপকারী ফ্যাটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং শরীরের ওজন কমাতে অনেকাংশে সাহায্য করে থাকে।
৩. লাল আটাতে খাদ্য আঁশ রয়েছে বলে এটি শরীরের রক্তের কোলেস্টেরল কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।
৪. লাল আটার তৈরি রুটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং এর ফলে শরীরের রোগবালাই অনেক টা কমে যাবে । তাই আমাদের উচিৎ প্রতিদিন দুইবেলা লাল আটার রুটি খাওয়া ।
৫. লাল আটার খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় না। এই কারণে লাল আটার খাবার অনেক টা সময় আমাদের পেটে থেকে যায় এবং সহজে ক্ষুধাবোধ লাগে না । লাল আটায় থাকা ফাইবার বা আঁশ হজমে উপকার করে। এতে করে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও রুটি খাওয়ার নানা রকমের উপকারিতা রয়েছে।
0 Comments