ওজন কমাতে খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা অনেকেই ভেবে থাকি , ভাত-রুটি খেলে ওজন কমার বদলে বেড়ে যায়। তাই আমরা অনেকেই রুটির পরিবর্তে পাউরুটি খেয়ে থাকি ।কিন্তু বিভিন্ন পুষ্টিবিদরাওঁ বলছেন, এটা একি বারে ঠিক নয়। রুটির মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খুব কম খাবারে রয়েছে। এক বার রুটি খেলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরতি থাকে । ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও অনেকটা কমে যায় । এজন্য ওজন কমানোর ডায়েটে প্রথম পছন্দ রুটি হলেই বেশ ভাল। এর বেশ কিছু কারণও রয়েছে। কারন গুলো হল যেমন-
১. আটার তৈরি রুটিতে ভরপুর ফাইবার রয়েছে যা হজমশক্তি উন্নত করতে বহুগুণ সাহায্য করে। অন্য দিকে গম ছাড়াও পাউরুটি তৈরির উপকরণে একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে ময়দা। দ্রুত ওজন ঝরাতে ময়দা একেবারেই উপকারী নয় তা হয় তো আমরা অনেকেই জানি না । উল্টো বরং এতে হজমের গোলমালও তৈরি হতে পারে।
২. আটার রুটিতে ফাইবার ছাড়াও কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিনের মতো উপকারী পুষ্টিগুণ রয়েছে যা শরীরে রক্ত সঞ্চালন সচল রাখতে সাহায্য করে । পাশপাশি ভিতর থেকে শক্তি জোগায়। ফলে অল্প শরীরচর্চা করলেই দুর্বল হয়ে পড়তে হয় না। রোগা হওয়ার পথটাও খুব সহজ হয়।
অন্য দিকে পাউরুটিতে ইস্টের পরিমাণ বেশি থাকায় । তা ওজন কমায় না, বরং অত্যধিক হারে শরীরে প্রবেশ করলে আরও অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকের ।

৩. পাউরুটি সংরক্ষণ করা হয়। টাটকা পাউরুটি বাজারে পাওয়া খুবই কষ্টকর । এ ক্ষেত্রেও রুটি এগিয়ে রয়েছে । বাড়িতে রুটি তৈরি করেই খাওয়ার একটা সুযোগ থাকে। একটা কথা খেয়াল রাখতে হবে যে সংরক্ষণ করা যেকোনও খাবারই ওজন কমানোর পক্ষে উপকারী নয়। এই কারণে বাসি রুটি খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। রুটি বাসি হলে সব গুণ চলে যায়। খেয়ে কোনও লাভ হয় না।
তাই আমরা চেষ্টা করবো বাড়িতে সব সময় রুটি বানিয়ে খাওয়ার । টাটকা রুটি খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ভালো ওঁ উপকারি। আমরা অনেকেই জানি কিন্তু দেখা যায় সময়ে অভাবে খাওয়া হয় না । আবার অনেকেই আছে আগের দিন রুটি বানিয়ে ফ্রিজে রেখে পর দিন সকালে সেই রুটি ভেঁজে খেয়ে বের হয়। এটা কিন্তু মোটেও ঠিক না ।এতে করে সাস্থের ক্ষতি হয়। আপনি খুব সহজেই ২ মিনিটে ১২/১৫ টা রুটি বানিয়ে ফেলতে পারবেন ম্যাজিক রুটি মেকারের সাহায্য ।
0 Comments