রুটি ছাড়া কি সকালের নাস্তা হয় ? প্রায় প্রত্যেক ঘরেই তো রুটি তৈরি হয় রোজ সকালে । সঙ্গে থাকে নানা রকম সবজি , ডিম কিংবা ভুনা মাংস । একেক বাসায় আবার রুটির আকৃতিও হয় এক এক রকম । কোনো বাসায় বিশাল বড় রুটি বানানো হয় আবার কোনো বাসায় ছোট ছোট রুটি বানানো হয় । একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে ফ্রিজে রেখে বাসি খাবার খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয় । শুধু তাই নয় , একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও সেক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায় । প্রতিটি মহিলার কাছে রুটি বানানো একটি ঝামেলার কাজ । তাই অনেকেই রাতে রুটি বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দেন । এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি ম্যাজিক রুটি মেকার । আপনার বেলন পিড়ি কি পারবে ২ সেকেন্ডে রুটি বানাতে ? জানি , বলবেন অসম্ভব । কিন্তু ম্যাজিক রুটি মেকার এই কাজ টি খুব সহজেই করতে পারে । ম্যাজিক রুটি মেকারে প্রতি ১ মিনিটে গড়ে ১২ – ১৫ টা রুটি বানাতে পারে ।
জেনে নিন রুটি খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো ।
লাল আটার রুটি
লাল আটার রুটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । লাল আটায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান থাকে । লাল আটার রুটি পছন্দ না করলে সাদা আটার রুটিও খেতে পারেন।
সহজে হজম হয়
অনেকেই আছেন যারা কিছু খেলেই হজম সমস্যায় ভোগেন । যারা সহজে কিছু হজম করতে পারেন না তাঁরাও সকালের নাস্তায় রুটি বেছে নিতে পারেন । কারণ রুটি আঁশযুক্ত গম দিয়ে তৈরি হয় এবং এটা সহজেই হজম করা যায় ।

কোষ্ঠ্যকাঠিন্য কমায়
রুটির দ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে । দ্রবণীয় ফাইবার পেট নরম করে । ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় ।
ক্যালোরি কম
ভাজতে কোনো তেল বা ঘি লাগে না । শুধু মাত্র তাওয়ায় সেঁকেই রুটি তৈরি করে ফেলা হয় । ফলে রুটিতে অতিরিক্ত কোনো ক্যালোরি যুক্ত হয় না । যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা পরোটার বদলে সকালের নাস্তায় নিয়মিত রুটি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন । সঙ্গে মাংসের বদলে বেছে নিন সবজি ভাজি । তাহলে ওজন কমে যাবে সহজেই ।
পুষ্টিকর
রুটি একটি পুষ্টিকর খাবার । প্রতিদিন সকালের নাস্তায় রুটি রাখলে সারাদিন শরীরে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায় ।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
রুটিতে উপস্থিত ভিটামিন ই , ফাইবার ও সেলেনিয়াম শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে । তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রুটি রাখুন ।
রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে রুটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম হওয়ার কারণে এটি খাওয়া মাত্র রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না । ফলে ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে সকাল-বিকাল রুটি খেতে পারেন ।
মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে । ফলে হঠাৎ করে প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা কমে । সেই সঙ্গে রুটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
ঘাটতি পূরণ করে
শরীরকে সুস্থ রাখতে যে যে ভিটামিন এবং খনিজের প্রতিনিয়ত প্রয়োজন হয় সেগুলোর সবই রয়েছে রুটিতে । তাই তো রাতে হোক কী দিনে রুটির মত উপকারি খাবার কে অবহেলা করা যাবে না ।
ত্বকের জন্য উপকারি
রুটিতে প্রচুর মাত্রায় জিঙ্ক রয়েছে , যা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে ।
এনার্জির ঘাটতি দূর করে
সকাল সকাল মিটিং আছে ? হাতে সময় নেই সকালের নাস্তা করার ? চিন্তা না করে আগের দিনের রুটি আর এক গ্লাস দুধ ঝটপট খেয়ে বেরিয়ে করুন । এমনটা করলে পেট টাও খালি থাকবে না । উল্টে এনার্জির ঘাটতিও দূর হবে । ফলে কাজে মন তো বসবেই , সেই সঙ্গে শরীরও সতেজ হয়ে উঠবে ।
শরীর সতেজ হয়
আপনি যদি প্রতিনিয়ত ও গমের রুটি খাওয়া অভ্যাস করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের কোন ক্ষতি হয় না সেই সাথে আপনার শরীরে আরও বিভিন্ন প্রকার উপকার হতে থাকে । এর অন্যতম কারণ হচ্ছে রুটির মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং আরো বিভিন্ন প্রকার উপাদান যা আপনার শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করছে সেই সাথে বিভিন্ন প্রকার রোগ ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে ।
ম্যাজিক রুটি মেকারের উপকারিতা
আপনি চাইলে ম্যাজিক রুটি মেকারের সাহায্যে শুধু আটা বা ময়দার রুটি না সব কিছুর রুটি বানাতে পারবেন
যেমনঃ তৈরি করা যাবে সিদ্ধ গমের আটার রুটি , সিদ্ধ চালের গুঁড়ার রুটি , কাঁচা গমের আটার রুটি , বাংলাদেশী তালের রুটি , কালো জিরার রুটি , মাসকালাইয়ের রুটি , মিষ্টি আলুর রুটি , দিল্লী কা রুটি , বেসনের রুটি , ভেজিটেবলস টোস্ট রুটি , মাশরুমের রুটি , ইন্ডিয়ান বাটার রুটি , খামিরি রুটি, পালং পরাটা , পনির পরোটা , মাঠার পরোটা , মেথির পরোটা , গোবি পরোটা , ইন্ডিয়ান লাচ্ছা পরোটা , মিছি রুটি , এগ পরোটা , কিমা পরোটা , ক্যাপ্সিকাম চিজ পরোটা , ক্যাবেজ পরোটা , পীস পরোট , লুচি , ফুসকা , নিমকি, পুরি, সমুচা , বিভিন্ন নকশি পিঠা ইত্যাদি।


0 Comments