ড. জাফর ইকবাল স্যার ম্যাজিক রুটি মেকারে!
ড. জাফর ইকবাল স্যার এসেছিলেন উদ্যোক্তা হাটে Magic Ruti Maker – ম্যাজিক রুটি মেকার এর স্টলে!
স্যার এত সুন্দর করে একটা গল্পের মাধ্যমে বলেছেন আমাদের পন্যের কথাঃ
“একটি খুব মজার পন্য ছিল রুটি তৈরি করার একটি মেশিন, যারা নিজের হাতে রুটি বেলার চেস্টা করেছে শুধু তারাই জানে কাজটি কত কঠিন। কিন্তু এই মেশিনটি দিয়ে প্রতিবারই নিখুঁতভাবে পুরোপুরি গোল রুটি বানান যায়! মেশিনটি দেখে আমার প্রায় তিন যুগ আগের একটি স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
এই লেখাটির সাথে সেই স্মৃতি পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক তারপরও সেটা না বলে পারছি না। আমি এবং আমার স্ত্রী তখন যুক্তরাস্ট্রে পি এইচ ডি করার জন্যে সিয়াটল শহরে থাকি। শহরের বাঙালিদের দুই ভাগে ভাগ করা যায়- এক ভাগ আমাদের মতো কম বয়সী ছাত্রছাত্রী, অন্যভাগ একটু খানি বয়স্ক চাকরিজিবী। সেই বাঙালিদের ভেতর বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বাংলা দুই অঞ্চলের বাঙালিই আছে। আমাদের ঈদে পশ্চিম বাংলার বাঙালিরা আমাদের সাথে আনন্দ করতে চলে আসে, তাদের পুজা-পার্বনে ও আমরা তাদের সাথে উৎসব করতে চলে যাই। সেরকম একটি পুজা অনুষ্ঠানে সিয়াটল শহরের বাঙালিরা মিলে অনেক বড় একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, অনুষ্ঠানের জন্য সবাইকে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কয়েকশ লুচি তৈরি করার জন্য। সন্ধ্যাবেলা আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, চলো আজকে লুচি তৈরি করার বিশাল দজ্ঞযজ্ঞ দেখে আসি।
আমরা তো লুচি তৈরি করতে পারি না, বিষয়টা শিখে আসি। নির্দিষ্ট বাসায় গিয়ে আমার আক্কেলগুড়ুম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বাংলার সব ছাত্রছাত্রী লুচি তৈরি করার জন্য চলে এসেছে। কিন্তু তাদের কেউই জীবনে কখনো লুচি তৈরি করেনি। কীভাবে তৈরি করতে হয় সেটাও তারা জানে না। সবচেয়ে আতংকের ব্যাপার সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে, আমার নেতৃত্বে তারা এই লুচি তৈরি প্রজেক্টে ঝাঁপিয়ে পড়বে। কোন উপায় না দেখে আমি প্রবাসী বাঙালির অমুল্য গ্রন্থ সিদ্দিকা কবীরের রান্নার বই নিয়ে লুচি তৈরির কাজে লেগে গেলাম। কিছুক্ষনের মাঝেই আমরা আবিষ্কার করলাম যতভাবেই চেষ্টা করা হোক লুচি কোনভাবেই গোল হতে চায় না।

বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বড় বড় বিষয়ে পিএইচডি করতে থাকা ছাত্রছাত্রীরা নানা বিষয়ে গবেষণা করতে শিখেছে। কিন্তু শত গবেষণা করেও তখন কেউ গোলাকৃতির লুচি তৈরি করতে পারছিলা না। আমাদের লুচি পৃথিবীর নানা দেশের ম্যাপের আকৃতি নিতে শুরু করল এবং আমরা এক সময় হাল ছেড়ে দিয়ে তাতেই সন্তুষ্ট থাকলাম। পরের দিন সেই পুজা উৎসবে আমাদের ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের তৈরি লুচি নিয়ে হাসি-তামাশা হলো সেটি আর বলার মতো না। উদ্যোক্তা হাটে আমি গোলাকার রুটি তৈরি করার এই মেশিনটির দিকে তাকিয়ে তিন যুগ আগে ঘটে যাওয়া সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা স্মরন করে বিশাল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিলাম।
তখন যদি আমার হাতে এই যন্ত্রটি থাকতো তা হলে কেউ আমাদের মতো ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে হাসি-তামাশা করতে পারত না! উদ্যোক্তা হাটে বিচিত্র পন্যের যে রকম সমাহার ছিল, ঠিক সে রকম ছিল বিচিত্র সেবার সমাহার।”
আমরা অনুপ্রাণিত এবং গর্বিত আপনার পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে পেরে।
#Magic_Ruti_Maker
#ম্যাজিক_রুটি_মেকার
www.magicrutimaker.com
Phone: 01711305889
0 Comments